থাই ই-ভিসা চালুর আগে ভিসা স্টিকার সেবা বন্ধ করবে থাই দূতাবাস

45
থাই ই-ভিসা

ঢাকার থাইল্যান্ডের দূতাবাস ঘোষণা করেছে, নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ভিসা স্টিকারগুলোর আবেদন গ্রহণ বন্ধ থাকবে। দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, শুধুমাত্র ২৪ ডিসেম্বরের আগে জমা দেয়া ভিসা স্টিকারগুলোর আবেদন প্রক্রিয়া করা হবে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ভিসা স্টিকারের জন্য আবেদন গ্রহণ বন্ধ করা হবে।

 

দ্য রয়্যাল থাই অ্যাম্বাসি বাংলাদেশিদের জন্য ২ জানুয়ারি থেকে ই–ভিসা সুবিধা চালু করতে চলেছে। ফলে ২ জানুয়ারি থেকে বসে অনলাইনে আবেদন করে ১০ দিনের ভেতর ভিসা পেতে চলেছে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা। অন্যদিকে সরকারি পাসপোর্টধারীরা ১৯ ডিসেম্বর থেকে ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবে। ১৫ ডিসেম্বর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকার থাই দূতাবাস।

 

মাত্র ৬ ধাপে ঘরে অনলাইনেই সম্পন্ন করা যাবে থাইল্যান্ডের ভিসাপ্রক্রিয়া। প্রথমে নিজের নামে আপনি একটা অ্যাকাউন্ট খুলবেন। আবেদন ফর্ম পূরণ করবেন। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংযুক্তি ও কাগজপত্র আপলোড করবেন। ভিসার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করবেন। এরপর অপেক্ষা।

 

নতুন এ ব্যবস্থার মাধ্যমে আবেদনকারী ভিসা পেয়েছেন কি না, তা–ও ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ই-ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। ফলে মোটামুটি ২ সপ্তাহের ভেতর আপনার ই-মেইলে চলে আসবে ভিসা কনফার্মেশন ডকুমেন্টস। ই-মেইলে পাঠানো ভিসার অনুলিপি প্রিন্ট করে থাইল্যান্ড প্রবেশের সময়ে ইমিগ্রেশনে দেখাতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এই (https://www.thaievisa.go.th ) ঠিকানায়।

 

থাই ই-ভিসা প্রক্রিয়া চালুর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যমান আবেদন কেন্দ্রে ভিসা আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দেবে থাই দূতাবাস। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের ৬৯টি দূতাবাসে চালু হয়েছে ই–ভিসা। কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ২০১৮ সাল থেকে ভিসা ছাড়াই থাইল্যান্ডে ভ্রমণের সুবিধা পান।

 

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটক ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষা–সংক্রান্ত ভিসা দেওয়া হচ্ছে, তা–ও সীমিত পরিসরে। ফলে ভ্রমণ, কেনাকাটা বা চিকিৎসার জন্য বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশিরা। এমন পরিস্থিতিতে এলো থাইল্যান্ডের নতুন ভিসা সুবিধার ঘোষণা।