কালীগঞ্জে ছলনাময়ী নাগিন জহুরার ছোবলে সর্বস্বান্ত অনেকে!

118
ছলনাময়ী নাগিন জহুরার ছোবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার অলুয়া (অল্লা) গ্রামের ইসমাইলের মেয়ে জহুরা খাতুনের বিষাক্ত নীল ছোবলে সর্বস্বান্ত বহু পরিবার! প্রায় ২০ বছর আগে জহুরা পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় উপজেলার ফুলদী গ্রামের নম্র-ভদ্র ও ধার্মিক পুরুষ রমজান আলীর সাথে। বিবাহিত জীবনে জহুরা দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী। রমজানের সংসারে থাকা অবস্থায়ই জহুরা প্রথমে শুরু করে মোবাইল পরকীয়া! এই মোবাইল পরকীয়ার মাধ্যমে জহুরা দেশের বাইরে কর্মরত বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শুরু করে চুটিয়ে প্রেম। এসব পুরুষদের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, প্রথমে জহুরা ছলনাময়ী হয়ে তাদের মনে জায়গা করে নেয়। পরে উত্তেজক বিভিন্ন কথা বার্তায় তাদের এক মোহে আটকে ফেলে। প্রবাসী এসব পুরুষের সাথে পৃথক পৃথক সময়ে একান্তে যৌনতাপূর্ণ কথা বলে, তাদের সাথে আরো গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। কথার এক পর্যায়ে জহুরা তার পরকিয়া প্রেমিকদের জানায়, তার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বিয়ের চার মাসের মাথায় তার স্বামী মারা গেছেন। সে বাবার সংসারে থাকে। তখন পরকীয়া প্রেমিকরা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, সে এ বিষয়ে তার গার্ডিয়ানকে রাজি করাবে বলে আশ্বস্ত করে। তখন পরকীয়া প্রেমিক আর জহুরা এক আত্মা এক হৃদয়ের মানুষ হয়ে পড়েন। এরপর শুরু হয় জহুরার দ্বিতীয় মিশন। এ মিশনের লক্ষ্য প্রবাসী ওইসব পরকীয়া প্রেমিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেটসহ দামি দামি জিনিস পত্র হাতিয়ে নেয়া।

জহুরা প্রেমের ক্ষেত্রে কোন ধর্ম মানেন না এবং স্বামী বদলের ক্ষেত্রে বিয়ে কিংবা তালাকে বিশ্বাসী নন। সে প্রথম স্বামী রমজানের ঘরে থাকা অবস্থায় গোপনে একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসারী জীবন যাপন করেন, যা বিভিন্ন সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসব বিয়ে করার ক্ষেত্রে পূর্বের কোন স্বামীকেই সে তালাক দেয়নি, কিংবা কোন স্বামীর কাছ থেকে তালাক গ্রহণও করেনি। যা ইসলামী শরীয়ায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জহুরা গাজীপুরের টঙ্গীতে বসবাসরত চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুশীল বরুণ সরকার ও কাপাসিয়ার কান্দাইন্না নিবাসী সবুজের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা, স্বর্ণালংকার এবং দামী জিনিস পত্র হাতিয়ে নিয়ে, তাদের কাছ থেকে ছিটকে যান। এরা দু’জনই ছিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। পরে বহু খোঁজাখুঁজি করে জহুরার সন্ধান পেয়ে তারা জানতে পারেন, জহুরার স্বামী, সংসার এবং সন্তান আছে। তাদের সাথে সে প্রতারণা ও ছলনা করেছে। এখানেই শেষ নয়, জহুরা কলিঙ্গার জামাল ও আজির ছেলে আলামিন, টিউরী গ্রামের আল-আমিন, অলুয়া (অল্লা) গ্রামের আলমঙ্গীর, আমিরুল, শামিম এবং গাজীপুরের হানাইয়া নিবাসী আলাউদ্দিনের ছেলে কবির এবং হানিফার ছেলেকেও পরকীয়ার ছলে সর্বশান্ত করেছে।

জহুরার এসব গোপন বিষয় প্রকাশ্যে চলে আসতে শুরু করলে, স্বামী রমজানের অবর্তমানে
প্রায় দুই বছর আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে, ঘরের সমস্ত জিনিস পত্র, টাকা-কড়ি এবং কাগজ পত্র পিক-আপে করে চম্পট দেয়।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, জহুরা বহু পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত।
সে এ পর্যন্ত একসাথে চারটি পুরুষকে বিয়ে করেছে এবং তাদের সঙ্গে অবলীলায় সংসার করছে। এসব বিষয় জহুরার পিতা ইসমাইল সহ পরিবারের সবাই জানলেও অর্থের লোভে তারা মেয়েকে এসব কাজে বারণ করতে পারছেনা। জহুরার এক নিকট প্রতিবেশী জানান, প্রায় সময় জহুরা অচেনা অপরিচিত পুরুষ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং রাত কাটায়। তার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের অনেক যুবক এখন বিপথগামী। এলাকার অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। কারণ কখন তার সন্তানের উপর জহুরার বদনজর পরবে তার কোন ঠিক নেই। এ কারণে এলাকাবাসী জহুরা সহ তার পরিবারের লোকজনের ইসলামিক শরীয়া অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।